Offline Business
এয়ারক্রাফট এ কোন কোন ধরণের চাকুরি পাওয়া যায়।
এয়ারক্রাফট এ কোন কোন ধরণের চাকুরি পাওয়া যায়।
আমাদের সবারই একটা স্বপ্ন থাকে একটা সুন্দর ভবিষ্যত গঠনের। আর এ জন্য একটা স্থায়ী চাকুরি হতে পারে অন্যতম মাধ্যম। আর চাকুরিটা যদি কোনো এক নামি-দামি কোম্পানিতে হয় তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। আমি এমনই কিছু তথ্য দিয়ে আপনাদেরকে সাহায্য করতে চাই আমার এই নগন্য জ্ঞান আর বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে, যাতে আপনারা উপকৃত হতে পারেন বাস্তব জীবনে। সাধারণত আপনি কোথাও এসব তথ্য পাবেন না যদি না আপনার মামা, চাচা না থাকে অথবা আপনি জব না করে থাকেন ঐসব কোম্পানিতে। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে দয়া করে ধৈর্য সহকারে আমার পোস্ট গুলো পড়বেন আর আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার ভাই, বন্ধু, নিকটতম আত্নীয়দের উপকারে এগিয়ে যাবেন।
এবার তাহলে মুল বিষয় চলে যেতে পারি আমরা। গত পোস্ট এ আমরা জেনেছিলাম এয়ারলাইন্স কোম্পানিতে চাকরির জন্য সাধারণ ধারনা।
এই পোস্ট এ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব এয়ারলাইন্সে কোন সেক্টরে কি কাজ এবং কোন সেক্টরে কাজ সহজ এবং কঠিন।
এয়ারলাইন্সে চাকুরির মধ্যে সবচেয়ে আরামদায়ক সেক্টর হচ্ছে
●কাস্টমার সার্ভিস (Customers Service)
●এইচ আর (Human Resources)
●কেবিন ক্র ( Air Hostage)
●এয়ারক্রাফট ইন্জিনিয়ার ( Hanger)
এই সেক্টর গুলোতে শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই অনেক ভালো হতে হবে। সর্বনিম্ন অনার্স পাশ , কোনোটির জন্য মাস্টার্স পাশ হতে হবে। আর ইন্জিনিয়ারিং সেক্টরের জন্য ডিপ্লোমা এবং বি এস সি করতে হবে এঅ্যারোনোটিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এর উপর।
●কাস্টমার সার্ভিসঃ
কাস্টমার সার্ভিস এর কাজ হল মুলত এয়ারপোর্টে। সেখানে যাএীকে অভিবাদন করা, বিমানের ফ্লাইটের সময়সীমা সম্পর্কে যাএীদের অবগত করা, এয়ারপোর্টে বিমানের টিকেটের তথ্য এবং মান চেক করে সে অনুযায়ী সেবা প্রদান করা। যাএীর লাগেজ, ব্যাগ চেক করা, নির্দিষ্ট ওজন নিশ্চিত করে কার্গোতে প্রেরণ করা ইত্যাদি।
●এইচ আর
এইচ আর এর কাজ হলো কোম্পানির সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিয়োগ হতে শুরু করে চাকরি রিটায়ার্ড করা পর্যন্ত সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। তাদের সকল সমস্যা কোম্পানির নিয়মের মধ্যে রেখে নিরসন করা। কোম্পানির নিয়ম নীতিমালার ওপর বিভিন্ন ট্রেনিং এবং অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট প্রদান করা ইত্যাদি।
●কেবিন ক্র
কেবিন ক্রর কাজ হলো বিমান
নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছানো পর্যন্ত যাএীদের সকল ধরনের সেবা প্রদান করা। যেমনঃ যাএীদের বিমানে ওঠা আর নামার সময় হাসিমুখে অভিবাদন দেওয়া ,যাএীদের হাতব্যাগগুলো, লাগেজ গুলো নির্ধারিত জায়গায় নিশ্চিত করা। বিমানে ভ্রমন সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা দেওয়া, যাএীদের খাবার প্রদান করা, তাদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখা ইত্যাদি।
●এয়ারক্রাফট ইন্জিনিয়ার
ইন্জিনিয়ারদের কাজ হলো বিমান উড়ার আগে এবং পরে বার বার সব ইন্জিন সংক্রান্ত পার্টস ভালোভাবে চেক করা। ইন্জিনে সমস্যা থাকলে সেটা দ্রুত মেরামত করা৷ ফুয়েল রিফিল করা ইত্যাদি।
●ক্যাটারিং
এয়ারলাইন্স ক্যাটারিং কাজ হলো ফ্লাইটের যাএীদের জন্য সব ধরনের খাবার, ঠান্ডা পানীয়জল, অ্যালকোহেল, পরিস্কার কম্বল, বালিশ, টিস্যু, হেডফোন, ম্যাগাজিন, ইত্যাদি নিশ্চিত করা। এখানে অনেক ভারী কাজ করতে হয়। অল্প বয়সে অনেক মানুষের কোমর ব্যাথা বা ব্যাক পেইন হয়ে যায়। তাই নিজের নিরাপত্তাকে আগে গুরুত্ব দিয়ে পরে কাজ করতে হবে এখানে।
●কার্গো
কার্গো এর কাজ হলো সিকিউরিটি স্ক্যান থেকে যাএীদের ব্যাগ, লাগেজ, বক্স, কার্টন ইত্যাদি বিমানে ওটানো আর নামানো। এখানেও অনেক ভারী কাজ করতে হয়। অল্প বয়সে অনেক মানুষের কোমর ব্যাথা বা ব্যাক পেইন হয়ে যায়।
তাই নিজের নিরাপত্তাকে আগে গুরুত্ব দিয়ে পরে কাজ করতে হবে এখানে।
পরবর্তী পোস্টে কিভাবে অনলাইনে এয়ারলাইন্স কোম্পানিতে চাকরি আবেদন করতে হয় সে বিষয়ে বিশদ আলোচনা করব। তাছাড়া কাতার এয়ারলাইন্স এ কিভাবে চাকুরি পাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আমাদের পোস্টগুলো কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ আমাদের ব্লগের সাথে থাকার জন্য।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ