গুগলের ১০ টি গুরত্বপুর্ণ টুলস


"গুগল"; ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ এই নাম জানে না, পৃথিবীতে এমন মানুষ হয়তো হাতেগোনা ১০-১২ জন পাওয়া যাবে। ১০-১২ জন বলছি এই কারণে স্বাক্ষর করতে পারলেই যে সে নিরক্ষর না এইটা বলা যাবে না। ইন্টারনেটের নাম শুনেছেন অথচ ব্যবহার করে না এমন মানুষকে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বলি না। 

Red and White Plastic Packগুগল ওয়েব জগতের সকল ডাটাগুলোকে এক জায়গায় এনে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকে করে তুলেছে অনেক সহজলভ্য। যাই হোক গুগলের গুনগান বর্ণনা করলে কয়েকশ পাতা লেগে যেতে পারে। আজকে আমরা গুগুলের ১০ টি প্রয়োজনীয় টুলস সম্পর্কে বলব। এগুলোর অনেক গুলোই হয়তো এখন আর ততটা প্রয়োজনীয় না। তবে যারা আমাদের জন্য এতকিছু করল তাদের টুলস গুলোও একটু দেখা নেয়া যাক।

১। Google E-mail
ইন্টারনেট জগতে আসলে গুগল এর একটি ইমেইল ছাড়া আপনি প্রায় অসহায় বলা যায়। ২০০৪ সালে এটি যাত্রা শুরু করে। প্রথমে এটি তারা কিছু নির্দিষ্ট মানুষের জন্য ব্যবহার করলেও, পরে সেটি তারা সকলের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়। আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে একটা এপস নামাতে গেলেও এটার প্রয়োজনীয়তা আপনি টের পান। ইন্টারনেট মানেই শেয়রিং, আর এখানে কানেক্টেড থাকতে হলে আপনার একটা জিমেইল একাউন্ট থাকা খুব জরুরী।

২। GTalk
বর্তমানে আমরা ইন্টারনেটে ফেইসবুক, ইমো, ভাইবার আরো অনেক ধরনের সাইট ব্যবহার করি কথা বলার জন্য। কিন্তু GTalk ২০০৫ সালে এই সুবিধাটি আনে আমাদের জন্য। এখানে আপনি যত বড় ইচ্ছা ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন, এমনকি আপনার নেট কানেকশন স্লো হলেও আপনি করতে পারবেন। 

৩। Google Checkout
অনেকেই ইন্টারনেটে শপিং করে থাকেন। এজন্য আপনাকে অনেক তথ্য দিতে হয়  ওইসব সাইটে। সেটা আপনার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে।  কিন্তু আপনি যদি গুগলে চেকাউট চালু রাখেন তাহলে আপনি গুগলের মাধ্যমে পে করতে পারেন ওইসব অনলাইন সাইটে। এতে আপনাকে তাদের কাছে কোন তথ্য দিতে হবে না আর আপনি সুরক্ষিত থাকবেন।

৪। Google Calendar
২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে গুগল সর্বপ্রথম ফ্রী অনলাইন ক্যালেন্ডার এপ্লিকেশন চালু করে। আপনার একটা গুগল একাউন্ট থাকলে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এই ক্যালেন্ডার এ আপনি আপনার স্কেডিউল গুলো সাজিয়ে রাখতে পারবেন এবং অন্যদেরকে ইনভাইট করতে পারবেন। আপনার সুবিধার জন্য আপনি একাধিক ক্যলেন্ডার ব্যবহার করতে পারবেন।

৫। Google Docs
এটার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ওয়ার্ড প্রসেসিং, প্রেজেন্টেশন, স্প্রেডশীট ইত্যাদি তৈরি করতে পারবেন। যেটা আপনি এম এস আপ্লিকেশন দিয়েও করতে পারবেন। কিন্তু এইটার সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার  ফাইল গুলোকে গুগলের হার্ড ড্রাইভে রাখতে পারবেন ফলে আপনার হার্ড ডিস্ক নষ্ট হয়ে গেলেও আপনি থাকবেন চিন্তা মুক্ত। এছাড়া আপনি সহজেই অন্য গুগল ইউজারদের সাথে আপনার ফাইল শেয়ার করতে পারবেন। 

৬। Google Maps
গুগল ২০০৫ সালে প্রথম তাদের ম্যপ চালু করে আর এটা ডেভেলপ করতে তাদের ১০ বছর সময় লেগে যায়। যারা এটি ব্যবহার করেন তারাই জানেন এ থেকে কত কিছু পাওয়া যায়। আপনার নিজের লোকেশন ট্রাকিং এর পাশাপাশি অনেক অজানা জায়গা সম্বন্ধেও আপনি আইডিয়া পেয়ে থাকেন। তাছাড়া গাড়ির ন্যভিগেশন সিস্টেম থেকে শুরু করে আপনি বিভিন্ন এলাকার ট্রাফিক সম্বন্ধেও জানতে পারেন।

৭। Google Earth Maps
গুগল সবসময়ই নতুন ভাবে কিছু প্রকাশ করতে ভালোবাসে আর সেটা আমরা দেখতে পাই গুগল আর্থ এ। আপনি এটার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীর স্যাটেলাইট ভিউ  দেখতে পারবেন জুম ইন জুম আউট করে। আর এটা দেখে আপনাকে কোন টাকা গুনতে হবে না। আগে একসময় পৃথিবীর স্যটেলাইট ভিউ সরকার প্রদাহ্নরাই দেখতে পেতেন। কিন্তু এখন এটা সবার জন্যই উন্মুক্ত করেছে গুগল।

৮। Google Desktop
এই এপ্লিকেশনটার মাধ্যমে আপনিয়াপনার কম্পিউটারের সবকিছু প্রায় সহজেই খুজে পাবেন। গুগল হয়তো মাইক্রসফটকে টেক্কা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে আর তাতে তারা সফল হবে বলে মনে হয়।

৯। iGoogle
এইটা এমন একটা এপ্লিকেশন যেখানে আপনি যে সকল সাইট সবসময় ব্যবহার করেন তার তথ্য গুলো জমা রাখার জন্য। এতে আপনার কাজগুলো অনেকটাই সহজেই করতে পারবেন।

১০। Google Health
আপনি যদি ডাক্টার পরিবর্তন করেন তাহলে দেখা যায় আপনার মেডিকেল রিপোর্ট গুলো হারিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু এই এপ্স এর মাধ্যমে সহজেই আপনার ফাইল গুলো সেইফ থাকে আর এক ডাক্তার থেকে আরেক ডাক্তারের কাছে গেল তারাই আপনার ফাইল চেক করতে পারে। উন্নত বিশ্বে এই সেবা চালু আছে। 

আপনারা যারা এখনো এই টুলস গুলো সম্পর্কে জানতেন না তারা এইগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার আরো সহজলভ্য হবে আশা করি। ধন্যবাদ আমার ব্লগের সাথে থাকার জন্য। আসসালামু আলাইকুম।